প্রকাশিত: Thu, Apr 20, 2023 4:26 AM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 5:04 PM
আমাদের জোরজবরদস্তির সংস্কৃতি!
জান্নাতুল মাওয়া আইনান : আমাদের জোরজবরদস্তির সংস্কৃতি নিয়ে কিছুদিন ধরে ভাবছি। আমার মনে হয় সমস্যাটা শুরু হয়েছে আমাদের শিশুকাল থেকেই। আমরা প্রায় সবাই ছোট থাকতে নানান রকম জোর-জবরদস্তির শিকার হয়েছি। কম বা বেশি। সবচেয়ে কমন যেটা ছিলো সেটা হলো অপছন্দের খাবার জোর করে গেলানোর প্রয়াস। আমাদের বেড়ে ওঠার শুরু থেকেই আমরা এ ধরনের জবরদস্তির সঙ্গে পরিচিত। তবে এ সমস্তই করা হতো আমাদের ভালোর জন্য। যেই জিনিসটা আমার খেতে ভালো লাগছেনা সেইটা জোর করে খাওয়ানো হবে, কারন এতে নাকি আমার ভালো হবে। ওই খাবারের বিকল্প কি চাইলেই আমাদের জন্য খুঁজে পাওয়া যেতো না? যেতো নিশ্চয়ই। কিন্তু যিনি জোর করছেন তার মূল উদ্দেশ্য তো জোর করে নিজের পছন্দের খাবার আরেকজনকে খাওয়ানো। যেহেতু অপরজন তার ওপরেই নির্ভরশীল তাই এই জোরাজোরি তাকে মেনে নিতে হয়। একটা সময়তো জোর করে বিয়ে দেওয়াটা একটা খুব কমন প্র্যাক্টিস ছিলো।
এখনো অনেক সময় আমাদের অঞ্চলে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। এসবই করা হয় আমাদের ভালোর জন্য। খেয়াল করে দেখবেন, একটা মানুষ বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে যতো বেশি স্বাবলম্বী হয় ততোই তার ওপরে চাপ প্রয়োগ কমে আসে। জবরদস্তিমূলক আচরণগুলো বেশির ভাগ হয় শারীরিক এবং আর্থিকভাবে দুর্বল, ডিপেন্ডেন্ট মানুষদের ওপরে। সবাই নিজের মতো করে দুর্বলের ভালো চায়। মূলত দুর্বলের বা অপরের উপরে নির্ভরশীল ব্যক্তির এজেন্সি কেউ স্বীকার কে রনা। সুতরাং একটা বিশাল জনসংখ্যা যতদিন হীনমন্যতা কাটিয়ে উঠতে না পারবে, যতদিন আর্থিক এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী না হতে পারবে ততোদিন তাদের নানান রকমের জোরজবরদস্তির শিকার হতে হবে। তাদের স্বাধীন কর্তাস্বত্ত্বার উপস্থিতি কেউ স্বীকার করবে না। আজকের যুগের বাচ্চাদের ওপরে এইসব জবরদস্তি কমে এসেছে। এর ফলে হয়তো আমরা একটা স্বাধীন স্পিরিটের জেনারেশন পাবো এবং তখন হয়তো এইসব জবরদস্তি খাটবেনা। হয়তো এখনই খাটছে না। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
